২০ এপ্রিল ২০২৫ – ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আজ সাজ সাজ রবে উদযাপিত হলো বর্ণাঢ্য "তারুণ্যের উৎসব ও বর্ষবরণ- ১৪৩২"। বৈশাখের রঙিন আবহে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিণত হয় উৎসবের মিলনমেলায়, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয় পুরো পরিবেশ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো. শামসুল হুদা। তিনি তার বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, "বাংলার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সংস্কৃতি ধারণ করে আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়াই তোমাদের দায়িত্ব। জাতির উন্নয়নে তোমাদের সৃজনশীলতা ও মেধাই হবে মূল চালিকাশক্তি। তরুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি বিগত জুলাই বিল্পবের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জাতিকে ভাবিষ্যতে সমৃদ্ধ রাখতে তাদের সামগ্রিক সহযোগিতা কামনা করেন।" এছাড়া তিনি দল-মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে এই উৎসব উদযাপনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান তারুণ্যের শক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে এই উৎসব তোমাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও সম্প্রীতির বীজ বপন করুক।"
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির সমন্বয়ই একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।"
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে এই উৎসবে ছিল বৈচিত্র্যময় আয়োজন—বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্ল্যাশ মব, নাগরদোলা, দোলনা ও বাহারি স্টল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক সৈয়দ হাবিব আনোয়ার পাশা ও কালচারাল ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল-ফাহাদ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও ক্যারিয়ার সার্ভিসেসের উপ-পরিচালক কেএম মনিরুল ইসলাম।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি তারুণ্যের উদ্দীপনা, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উৎসব তারুণ্যের প্রাণশক্তি ও সংহতিরই প্রতীক হয়ে থাকল।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে "তারুণ্যের উৎসব ও বর্ষবরণ- ১৪৩২" এর রঙিন উদযাপন
Organized by Cultural Club
